
রোববার সন্ধ্যা থেকে জেলার ৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ভোলার বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
চাকরিজীবী মো. সাইফ উদ্দিন, আরমান হোসেন ও হুমায়ুন কবির জানান, বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও তাদের অফিস যেতে হবে। তাই বিকল্প যানবাহনে করে যেতে হবে। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছেন। এখানে অটোরিকশা বোরাক, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস চলছে। কিন্তু বাসের চেয়ে ভাড়া বেশি চাচ্ছে। দ্রুত বাস চালু করার দাবি তাদের।
শিক্ষার্থী মো. আদনান ও মো. মিজান জানান, ভোলার বোরহানউদ্দিনের ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তারা। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন বাস বন্ধ। এখন বিকল্প যানবাহনে কলেজে যেতে হবে। বাসে হাফ ভাড়া দিয়ে গেলেও বিকল্প যানবাহনেতো সেটি নেই।
ভোলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান জানান, তাদের বাসচালক ও টিকিট মাস্টারকে সিএনজির শ্রমিকরা মারধর করেছেন। সিএনজি শ্রমিকদের বিচার ও আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা বাস চালাবেন না।
জানা গেছে, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা থেকে যাত্রী নিয়ে ভোলার উদ্দেশে রওনা দেয় যাত্রীবাহী বাস অনন্যা পরিবহন। চরফ্যাশন বাজারের সদর রোডে যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে সিএনজি ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হলে উভয় পক্ষের শ্রমিকরা আহত হন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভোলা-চরফ্যাশন, ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-তজুমদ্দিন, ভোলা-ভেদুরিয়া ও ভোলা-ইলিশা রুটের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এফএ/এমএস